অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রায় একশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে যশোরের মণিরামপুরে নির্মিত হচ্ছে ভূমি জরিপ ইনস্টিটিউট। এ ইনস্টিটিউটে এক সাথে প্রায় তিনশ’ শিক্ষার্থী কোর্স সম্পন্নের সুযোগ লাভ করতে পারবেন। কোর্স সম্পন্নের পর শিক্ষার্থীরা আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। পাবেন উচ্চতর প্রশিক্ষণেরও সুযোগ। প্রতিষ্ঠানটি চালু হওয়ার পর প্রায় দুইশ’ মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ থাকবে প্রতিষ্ঠানটিতে।
সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর গত বছরের মার্চ মাসে মণিরামপুর পৌরসভার গাংড়া ও হাকোবা মৌজায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নির্ভর এ ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের প্রথম দিকে। সরেজমিনে দেখা যায়, পুরোদমে কাজ এগিয়ে চলেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্থানীয় এমপি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে প্রচেষ্টায় উপজেলায় ভূমি জরিপ ইনস্টিটিউট নির্মাণে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে একনেকের সভায় আর্থিক অনুমোদন লাভের পর শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের কাজ। শেষ পর্যন্ত দরপত্র আহ্বানসহ নানা জটিলতা কাটিয়ে গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ৭টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শুরু করে। প্রকল্পে ১৭ মিটার উচ্চতার সাড়ে ছয়শ’টি পাইলিং করার পর শুরু হয়েছে মূল ভবন নির্মাণের কাজ। প্রকল্পে রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, এসিএইনস ও যৌথ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, মিরণ এন্টারপ্রাইজ, সোহেল ও সৈকত যৌথ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, ডিপিসি এন্টারপ্রাইজ ও মা এন্টারপ্রাইজ এ কাজ করছে।
মণিরামপুর উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মারুফ হাসান জানান,
নির্মিতব্য এ ইনস্টিটিউটে থাকছে পাঁচতলাবিশিষ্ট পৃথক একটি ছাত্রাবাস। একটি ছাত্রী নিবাস। থাকছে পাঁচতলার প্রশাসনিক ভবন। এছাড়া, অ্যাকাডেমিক ভবন ও ওয়ার্কশপ, মাল্টিপারপাসের পাশাপাশি দুইতলা বিশিষ্ট একটি মসজিদও থাকবে ইনস্টিটিউটে। দুইতলা বিশিষ্ট অধ্যক্ষের ভবন, চারতলার পৃথক টিসার্স ডরমেটরি ও স্টাফ ডরমেটরি ভবন নির্মিত হবে। এখানে স্থাপন করা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও শহীদ মিনার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মণিরামপুর ভূমি জরিপ ইনস্টিটিউটে ভর্তির সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে এসএসসি পাস। এ প্রতিষ্ঠান থেকে যারা কোর্স সম্পন্ন করবেন তাদের জন্য থাকবে ভূমি জরিপের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ। এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুইশ’ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
প্রকৌশলী মারুফ হাসান আরও জানান, প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় ধরে প্রাথমিকভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পরে সীমনা প্রাচীরসহ আরও নির্মাণ কাজ এক্সটেনশন হবে।
উপজেলা ভূমি অফিস জানায়, ইনস্টিটিউট নির্মাণ কাজে পৌরশহরের ৯৩ নম্বর গাংড়া ও ৯২ নম্বর হাকোবা মৌজায় পাঁচ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে গাংড়া মৌজায় প্রতি শতক দুই লাখ টাকা মূল্যে ১৪৫ শতক এবং হাকোবা মৌজায় প্রতি শতক ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রকল্পে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয় হবে বলে উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
Leave a Reply